বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে এখন বিকল্প মত প্রকাশেরও সুযোগ নেই। ক্ষমতাশালীদের নিয়ন্ত্রণে গণতন্ত্র ও মিডিয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদল নির্মূলের কাজ করে আসছেন অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে। যে দেশে গুম ও ক্রসফায়ার আর লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা জাতীয় জীবনের অংশ হয় সেই দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল গড়ে তোলার কথা বছরের শ্রেষ্ঠ ইয়ার্কি ছাড়া আর কিছুই নয়।
সোমবার দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।গণতন্ত্রের স্বার্থে শক্তিশালী বিরোধী দল নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, এ ধরনের রসিকতা তার (প্রধানমন্ত্রী) রাজনীতির সংস্কৃতির অংশ।
তিনি বেমালুম ভুলে গেছেন যে, জনগণের ভোটে নয় তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা রাতের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি যা বলেন করেন তার উল্টোটা।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায়ই বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি মানুষের শান্তি চাই। কিছুদিন আগেও একটি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন ‘আর চাই না প্রধানমন্ত্রীত্ব’। এসব কথা বলে আবার তার মোসাহেব মন্ত্রীদের দিয়ে বলান, ‘শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত ও কর্মক্ষম থাকবেন ততদিন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে কেউ সরাতে পারবে না’। এখন বলছেন শক্তিশালী বিরোধী দল লাগবে উনার। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রেজিমের চামুন্ডারাই কেবল মহিমা কীর্তণ করে থাকেন, যা জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়।